ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাংবাদিককে হাতকড়া পরানো খারাপ লক্ষণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
সাংবাদিককে হাতকড়া পরানো খারাপ লক্ষণ ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
 
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত বলে অভিযোগ করে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান।


 
বুধবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য ও দাবি জানান তিনি। ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগ এ সভার আয়োজন করে।
 
সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক বলেন, দেশে এক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গ তুলে আনেন।
 
ওমর ফারুক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীররা থেমে নেই। তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। একজন সাংবাদিক যিনি কি-না ঠিকভাবে হাঁটতে পারেন না, তাকেই পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই খারাপ লক্ষণ। এসব বিষয়ে আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
 
আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ সেলিম বলেন, কিছুদিন আগে শোনা গেলো, খালেদা জিয়া সৌদি আরবে যাচ্ছেন। এরপর এখন শোনা যাচ্ছে, তিনি যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। আসলে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। কেননা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি জড়িত আছেন।
 
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিয়া যে পাকিস্তানি এজেন্ট ছিলেন তারও প্রমাণ রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করলেই সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে।
 
শেখ সেলিম বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘাতকরা মনে করেছিল দেশ থেকে চিরতরে আওয়ামী লীগকে নি:শেষ করে দেবে। তারা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীসহ প্রবীণ নেতাদের হত্যা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
 
যুবলীগের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা বের হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত ও ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃতি খুনিদের জিয়া আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ওই হত্যার নেপথ্যে তার সম্পৃক্ততা আছে। কেননা, ওই হত্যাকাণ্ড না হলো তিনি রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না।
 
সব নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বইটি পড়লে সাহস, দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। এখান থেকে দেশসেবার সব মূলমন্ত্র পাওয়া যাবে। বোঝা যাবে, একজন জনদরদী, দেশপ্রেমিক, ত্যাগী নেতার জীবন কেমন ছিল।
 
ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে সভায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
একে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।