ঢাকা: আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানি হবে এবং তাকে শুনানিতে যেতে হবে।
লতিফ সিদ্দিকীর আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে বুধবার (১৯ আগস্ট) ইসির শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।
গত ১৬ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিবকে (আইন) বিবাদী করা হয়।
২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পবিত্র হজ, তাবলিগ জামায়াতসহ অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের আট মাস পর বিষয়টি জানিয়ে আওয়ামী লীগের পাঠানো চিঠি গত ৫ জুলাই স্পিকার শিরীন শারমিনের হাতে পৌঁছায়।
স্পিকার লতিফের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি-না, তা মীমাংসার জন্য আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন।
এরপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে ২৩ আগস্ট শুনানিতে ডাকা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
ইএস/এএসআর