ঢাকা: সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিলের প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তার পদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানি হবে এবং তাকে শুনানিতে যেতে হবে হাইকোর্টের এমন আদেশের স্থগিতাদেশ চাইলেন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকীর রিট আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকালেই এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরে দুপুরে ওই আদেশের স্থগিতাদেশ চাইতে নিজের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে চেম্বার বিচারপতির আদালতে পাঠান লতিফ সিদ্দিকী।
চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আবেদন আমলে নিয়ে তা পাঠিয়ে দেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য।
রোববার (২৩ আগস্ট) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলেও জানিয়েছেন চেম্বার আদালত।
রোববারই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে।
শুনানির চিঠি পেয়ে গত ১৬ আগস্ট ইসির শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন লতিফ সিদ্দিকী।
রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিবকে (আইন) বিবাদী করা হয়।
বুধবার (১৯ আগস্ট) রিট আবেদনটির ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।
২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পবিত্র হজ, তাবলিগ জামায়াতসহ অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের আট মাস পর বিষয়টি জানিয়ে আওয়ামী লীগের পাঠানো চিঠি গত ৫ জুলাই স্পিকার শিরীন শারমিনের হাতে পৌঁছায়।
স্পিকার লতিফের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি-না, তা মীমাংসার জন্য আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন।
বাংলাদেশ সময় ১৪০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
এমএমকে
** ইসির শুনানিতে যেতে হবে লতিফ সিদ্দিকীকে