ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি কখনো সন্ত্রাসের রাজনীতি করেনি এবং সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়ও দেয়নি।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এটা সবাই জানে যে, বিএনপি দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ পথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন চলাকালে সরকারি এজেন্ট, শাসক দলীয় লোকেরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে তার দায় বিরোধী দলের কাঁধে চাপানোর অপপ্রয়াস নিয়েছিল-তা কারোর অজানা নেই।
বিগত আন্দোলনে সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর সঙ্গে শাসক দলীয় ক্যাডারদের জড়িত থাকার ঘটনা-তখন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
অথচ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে শাসক গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের চরিত্র হননের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিরোধী নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেই চলেছে। সরকারের এ ধরনের ফ্যাসিবাদী-অগণতান্ত্রিক ভূমিকা ও দুবৃত্তায়ন এখন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যার পরিণতিতে দেশের মানুষের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এ সময় তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে একে একে কারাগারে অন্তরীণ করে দলকে নেতৃত্বশুন্য করার সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, তারা কোনভাবেই জনগণের নির্বাচিত সরকার নন। তাই তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে যেয়ে আজ তারা মরিয়া হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি দমন-নিপীড়ণের পথ বেছে নিয়েছে।
আমি সরকারকে আরও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, দমন-নিপীড়ণ ও গ্রেফতার করে পৃথিবীতে কোন ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারেনি।
তাই আমি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী আহমেদ রুমী, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউস, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল কালাম শাহীন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. আবুল কালাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসানসহ আটক সব নেতা-কর্মীদের মুক্তিদানের মাধ্যমে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা না দিয়ে, দলন-নিপীড়ণের পথ থেকে সরে এসে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের বদ্ধ কপাট খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৫
আরএ