ঢাকা: শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সভার প্রধান অতিথি সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষই কৃষক। সেই কৃষকদের স্বার্থের কথা বলতে হবে, তাদের কাছে যেতে হবে। কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কৃষকদের ঐকব্যবদ্ধ করে কৃষক লীগকে শক্তিশালী করতে হবে। সারা বাংলায় কৃষক লীগের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই আমরা শক্তিমান হবো। কৃষকদের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি।
তিনি আরও বলেন, একসময় ছাত্রলীগ এবং কৃষক লীগ ছিলো আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। কৃষক লীগের পাশাপাশি অন্য সংগঠনগুলোকেও শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই আমরা শক্তিমান হবো।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১ আগস্ট থেকে আমরা ৪০ দিনের কর্মসূচি পালন করছি। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংগঠন এবার অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করছে। এই শোকের মাসে আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘাতক ও ২০০৪ এর ২১ আগস্টের ঘাতকেরা এক ও অভিন্ন। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। এই অশুভ শক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। এটাই হোক আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।
হানিফ বলেন, আজকে যখন তদন্তের মাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির লোকের জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে। তখন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলছেন, সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন। আপনারা তদন্ত করেননি কেন? নাকি আপনাদের তদন্ত সঠিক হয়নি বলেই এখন তদন্তের কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী। এই মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এ মামলা থেকে অপরাধীদের রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই মামলার সুষ্ঠু বিচার হবেই।
নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের জবাবে হানিফ আরও বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধ করেননি। তিনি হঠাৎ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোথাও তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়া পাকিন্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার ও পঁচাত্তরের খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন না। শাহ আজিজুরর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আব্দুল আলিমকে রেলমন্ত্রী বানালেন। খালেদা জিয়াও পাকিস্তানের এজেন্ট। কারণ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচনের জন্য টাকা দিয়েছিলো।
কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাবলু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখোয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এসকে/এইচএ/