ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জমি নিয়ে বিরোধে ৪ আ.লীগ কর্মী আহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
জমি নিয়ে বিরোধে ৪ আ.লীগ কর্মী আহত

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে দোকানঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীসহ চার জন আহত হয়েছেন।



শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কেওতা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় দুপুরে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি ও শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- শুক্তাগড় ইউপির ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী ফোরকান ফকির (৪৫), তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল ফকির (১৯), আসাদ ও নুরুজ্জামান।

তাদের মধ্যে- আহত ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এবং তার বাবা ফোরকান ফকির প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কেওতা গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুল হকের ছেলে আসাদ মাদ্রাসা সংলগ্ন বিরোধপূর্ণ জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ভাই কেওতা ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল হাই ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলে আসছে।

বিরোধপূর্ণ ওই দোকান সকালে উদ্বোধন করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যানের আবুল কালাম আজাদ রাজমিস্ত্রী ফোরকান ফকিরকে দোকান ভাঙতে বলেন। ফোরকান অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটুনি দেন। এ সময় তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল বাবাকে মারধর করায় শাবল দিয়ে চেয়ারম্যানকে পিটুনি দেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান কেওতা মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোজাহেদুল হক, ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল হাইসহ মাদ্রসার ছাত্র ও চেয়ারম্যানের লোকদের নিয়ে ওই দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা দোকান মালিক আসাদ, বেল্লাল, ফোরকান ও নুরুজ্জামানকে মারধর করে। এতে বেল্লাল মাথায় আঘাত পান।

উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিরোধপূর্ণ জমিতে দোকানঘরের কাজ চলছিল। তাতে বাধা দিলে আমাকে মারধর করা হয়েছে। পরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এসে ওই দোকান ভাঙচুর করেছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৫
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।