ঢাকা: খিলগাঁও থানার একটি গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ১৪ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক এ মামলায় পলাতক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।
অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নারী নেত্রী শিরিন সুলতানা, শফিউল বারী বাবু, সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, এম এ কাইয়ুম, লতিফ কমিশনারসহ আরও দুইজন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন তাদের এ মামলায় পলাতক দেখিয়ে গত ২৭ জুন চার্জশিট দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে ম্যাজিস্ট্রেট এ পরোয়ানা জারি করেন।
ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের মধ্যে শওকত মাহমুদসহ কয়েকজন কারাগারে আছেন। কিন্তু আদালতের নথিতে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য না থাকায় সবার বিরুদ্ধেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এ মামলার মোট আসামি ২৪ জন। যার মধ্যে সুমন নামে একজন আগে থেকেই কারাগারে আটক আছেন। বাকি ৯ আসামির মধ্যে মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৬ জন মঙ্গলবার আদালতে হাজির ছিলেন। এম কে আনোয়ার, রুহুল কবির রিজভী ও আমান উল্লাহ আমান এ মামলায় জামিনে থেকে সময়ের আবেদন করেছেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে তুরাগ পরিহনের একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও যাত্রী হত্যার উদ্দেশে গাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গাড়িটির মালিক নজরুল ইসলাম খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫, আপডেট ১৭১৬
এমআই/আইএ