নীলফামারী: দশম সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্রে নাশকতা সৃষ্টির মামলায় জামায়াত ও বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালতের বিচারক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জামায়াত কর্মী লুৎফর রহমান (৪৫), সাত্তার আলী (৪৫), মহির উদ্দিন (৪০), জুয়েল (৩৫), আমজাদ হোসেন (৩৫), জিয়া (৩৫), আফছার আলী (৩৫), রশিদুল ইসলাম (৩০), কালা মিয়া (২৫), হারুন অর রশিদ (২৫), শরিফুল ইসলাম ছবদুল (৩০), জসিয়ার রহমান (৩০), হালিমুর রহমান (২৫), সহিমুদ্দিন (২৪), মিনারুল (২২), বিএনপি কর্মী ঘোটো (৩৫), সোবহান আলী (৩৫), আব্দুর রহিম (৩৫), শরিফুল ইসলাম কাল্টা (৩০), আমিনুর রহমান (৩৫), আলম (২৪), শাহজাহান আলী (২২) এবং রাসেল ইসলাম (২২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামায়াত-বিএনপি কর্মীরা নাশকতা চালিয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তাদের আহত করে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও অগ্নিসংযোগ করে।
ওই ঘটনায় পরদিন ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডিমলা উপজেলার একাডেমি সুপারভাইজার আমির বোরহান বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ মামলাটি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩১ মার্চ জামায়াত-বিএনপি ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
নীলফামারী জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অক্ষ্ময় কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এএটি/এসএইচ