ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কাজী জাফরের মৃত্যুতে সিজেএডি’র শোক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
কাজী জাফরের মৃত্যুতে সিজেএডি’র শোক

ঢাকা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কুমিল্লা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (সিজেএডি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সংগঠনটির নিয়মিত বৈঠকে শোক প্রস্তাব করেন সদস্য সচিব দিদারুল আলম।

পরে সিজেএডি’র নেতাকর্মীরা কুমিল্লার এই রাজনীতিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক আলোচনা করে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

সিজেএডি’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-সাংবাদিক কুদরত-ই-খোদা, শরীফুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, ফারুক খান, সালাম ফারুক, সায়ীদ আব্দুল মালিক, সালাহ উদ্দিন জসিম প্রমুখ।

নেতারা বলেন, কজী জাফর এক কালের তুখোড় ছাত্র, শ্রমিক নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ এই সহচর আধিপত্যবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে যে অবদান রেখেছেন, জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে তা স্মরণ করবে।

তারা কাজী জাফরের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান। সিজেএডি’র পক্ষে থেকে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত নেন।
 
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৭টায় গুলশানের নিজ বাসভবনে (রোড- ৬৮, বাসা- ২) হৃদরোগে আক্রান্ত হন কাজী জাফর আহমেদ। এরপর দ্রুত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার প্রখ্যাত চিওড়া কাজী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।
 
ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে রাজনীতি অঙ্গনে আসেন কাজী জাফর। ১৯৫৫ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন। সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৮৬-১৯৯৬ পর্যন্ত  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে পরপর তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
 
১৯৮৬-১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টির সরকারে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বন্দর-জাহাজ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা, ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এসইউজে/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।