ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রকারীরা যে কোনো সময় আঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। দলের নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
মায়া বলেন, শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তিনি টার্গেটের মধ্যেই আছেন। যে কোনো সময় ছোবল মারতে পারে ষড়যন্ত্রকারীরা। দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগামী ৩০ আগস্ট আওয়ামী লীগের শোক র্যালি ও ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের আলোচনা সভার প্রস্তুতি হিসেবে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো সেই ৭০ সালের নির্বাচন থেকে। ৭১-এ ষড়যন্ত্র হয়েছে, ৭৫-এ তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এখন শেখ হাসিনা তাদের টার্গেট। তারা জানে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বেঈমানি করে না। এ কারণে তারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে আমরা রাজপথে রক্ত দেবো। জনগণের ভোটের মধ্য দিয়েই আমাদের আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিলো সেই ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গাজীপুরে একটি মামলা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন তারেককে কেন এই মামলার আসামি করা হলো। আমি বলতে চাই, অপরাধ যারা করে তাদের মধ্যে কিছু লোক সরাসরি করে। আর কিছু লোক নির্দেশ দেয়, অর্থ দেয়, পরিকল্পানা করে। তিনি বিদেশে থাকুন আর কারাগারে থাকুন। বিদেশে বসেও নির্দেশ দিতে পারেন, অর্থ যোগান দিতে পারেন। যিনি সরাসরি অপরাধ করেন, আর যিনি নির্দেশ দেন, অর্থ দেন এরা সবাই সমান অপরাধী। অর্থ যোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারী কেউই রেহাই পাবেন না।
কামরুল আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ফরমায়েশি মামলা দেয় না। তদন্তে যার বিরুদ্ধে অপরাধের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধেই মামলা হয়। অপরাধী কেউ পার পাবে না, বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। সাজা ভোগ করতেই হবে, কোনো ছাড় নেই।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ফয়েজউদ্দিন মিয়া, শেখ বজলুর রহমান, মুকুল চৌধুরী, হাজী সেলিম, আওলাদ হোসেন ও শাহে আলম মুরাদ।
বর্ধিত সভায় বক্তারা নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ৩০ আগস্টের শোক র্যালিতে বিশাল জনসমাগম ঘটানো হবে। বঙ্গবন্ধুকে ব্যাপক মানুষের মধ্যে নিয়ে যেতে হবে। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে এই শোক র্যালি হবে শপথের শোক র্যালি। পায়ে হেঁটে এই শোক র্যালিতে অংশ নিতে হবে। প্রত্যেকে কালো পতাকা হাতে নিয়ে শোক র্যালিতে অংশ নেবে।
ওই বিকাল ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শোক র্যালি শেষ হবে বলেও জানানো হয় সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৫
এসকে/এমজেএফ