ঢাকা: গ্যাস ও বিদুৎতের দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রোববার (৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সমিতির ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিশ্ববাজারে যেখানে জ্বালানি তেলের দাম ও উৎপাদন খরচ কমে এসেছে প্রায় তিনগুণ সেখানে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো সরকারি দলের দুর্নীতির রসদ যোগানো এবং দলীয় ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করার প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। ’
তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তির তোয়াক্কা না করে, জাতীয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাবের দিকে না তাকিয়ে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া দলীয় ব্যবসায়ীদের অবৈধ মুনাফা বৃদ্ধির পাঁয়তারা।
সরকার কোন রকম দরপত্র ছাড়াই সমঝোতার মাধ্যমে অদক্ষ ও অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এমন অভিযোগ করে মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার অসৎ উদ্দেশ্যে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন এর বিধানাবলী রহিত করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ আইন ২০১০ প্রবর্তন করে। এর মাধ্যমে সরকার টেন্ডার প্রথা বাদ দিয়ে কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কেন্দ্র ভাগবাটোয়ারার ব্যবস্থা করেছে।
কুইক রেন্টাল এর কারণে লোকসানের গ্লানি এত ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফান্ড পর্যন্ত ভাঙ্গা হচ্ছে।
কুইক রেন্টাল খাতে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্তে সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান তিনি। এছাড়া বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ব্যাপারে সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবী সমাজে পূর্ণাঙ্গ আলোচনারও দাবি করেন তিনি।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, দেশে ৫০ হাজার আইনজীবী সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যাপারে তাদের বক্তব্য থাকা উচিৎ। তাই আমরা আজকে গ্যাস বিদুৎতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছি। ’
সুপ্রি কোর্ট আইনজীবী সমিটির সহসভাপতি মুক্তার কবির খান ও মির্জা আল মাহমুদসহ বারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৫
এজেডকে/আরআই