ঢাকা: সংবিধান সংশোধন ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে গার্মেন্ট শিল্পে ভাঙচুর এবং ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডকে কেউ উস্কে দিচ্ছে কি না সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী বাংলানিজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে এ তথ্য জানান।
বৈঠকসূত্র জানায়, এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংশোধনের বিষয়ে মন্তব্য না করার প্রসঙ্গটি তুলেন। এ সময় মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেবে সংশোধন কমিটি। ’
সংবিধান সংশোধন একটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘এ বিষয়ে আগ বাড়িয়ে কারো কোনো মন্তব্য করা বা কথা বলা উচিত হবে না। ’
সূত্র জানায়, বৈঠকে সরকার কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। ইসলামী বা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকবে কি থাকবে না, এ বিষয়টিও কমিটিতে আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে আগাতে হবে। এসব বিষয়ে আগ বাড়িয়ে কারো কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন আইন মেনে যে কেউ রাজনৈতিক দল করতে পারেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল থাকতে পারে। জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আরও বলেন, ‘এটা সরকারের কোনো বিষয় নয়। ’
সুত্র আরো জানায়, বৈঠকে গার্মেন্টস শ্র্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়টি কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।
বিক্ষোভ-ভাঙচুর শ্রমিকরা করছে, না এর সঙ্গে আরো কেউ যোগ দিয়েছে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডকে উস্কে দিচ্ছে। এসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্রমিকদের শান্ত রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সূত্র জানায়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়টি নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্র বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি শান্ত রাখা এবং এ বিষয়ে সার্বিক খোজখবর নেওয়ার জন্য বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১০