ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উচ্চ আদালতে যাবেন কাদের সিদ্দিকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
উচ্চ আদালতে যাবেন কাদের সিদ্দিকী ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইতে সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী নিজেই একথা জানান।



তিনি বলেন, আমি ঋণ খেলাপি নই, গত মাসে (সেপ্টেম্বরে) ঋণের পুনঃতফসিল করা হয়েছে। অথচ আমাকে ঋণ খেলাপি দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এজন্য প্রতিকার চাইতে সর্বোচ্চ আদালতে যাবো।

একই সঙ্গে তার নিজের ও তার স্ত্রীর মনোনয়নের বিষয় যাই হোক না কেন, তার দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও জানান তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত আমার ‘সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা (প্রা.) লিমিটেডের নামে অগ্রণী ব্যাংকে ঋণ ছিল। ওই ঋণের সুদ মুওকুফ করলে এককালীন আদায় করে দেবো মর্মে আবেদন করি। ২৬-০৮-২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ৪২৭তম সভায় ১০,৮৮২৬৪০০/= (দশ কোটি আটাশি লাখ ছাব্বিশ হাজার চারশত টাকা) ১০ ভাগ সুদে ১০ বছরে পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে পুনঃতফসিল অনুমোদন করে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকও এটি অনুমোদন করে।

তিনি বলেন, এরপরও আমার ও আমার স্ত্রীর নামে মনোনয়ন ফরম তোলার পর ব্যাংক ছলনা করে আমাদের ঋণ খেলাপি দেখিয়েছে। আমরা যখন মনোনয়ন ফরম তুলবো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন থেকেই শুনছিলাম ব্যাংক এমন একটা ছলনা করবে। কিন্তু এভাবে ছলনা করবে কল্পনাও করিনি।

ব্যাংকের কাগজপত্রে দেখা গেছে, এই ঋণটি যখন পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে, তখন একে ‘বিশ্রেণিকৃত’ করারই আবেদন অগ্রণী ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ে করা হয়েছে। একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকও বিশ্রেণিকৃত করার অনুমোদন করা হয়েছে বলে অনুমোদন করে। এভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চেয়েছিলো। বাংলাদেশ ব্যাংকও ‘বিশ্রেণিকৃত’ উল্লেখ করে অনুমোদন করে এবং সিআইবি ডাটাবেজে উল্লেখ করে।

পরে ব্যাংক আবার এই ঋণটিকে ‘শ্রেণিকৃত’ দেখানোর কারণে তাদের (কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকী) মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে প্রতিকার চাইতে আমি সর্বোচ্চ আদালতে যাবো। একইভাবে আমি বা আমার স্ত্রী নির্বাচন না করতে পারলেও আমার দলের অপর দুই প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী ও হাসমত আলীর যেকোনো একজন নির্বাচন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এসইউজে/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।