ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ‘ন্যায়বিচারের পরিপন্থি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন। একইসঙ্গে এ দণ্ডাদেশকে ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন ড. রিপন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত সাদেক হোসেন খোকাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ রায়ে খোকা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই মামলায় তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার হলেও প্রকৃতপক্ষে খোকা উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় কিডনির ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন এবং সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরুটাই ছিল আইনবহির্ভূত। ’
খোকার মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে ‘একতরফা’ অভিহিত করে ড. রিপন বলেন, ‘বিচারের নামে প্রহসন করে যে দণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা আইন-বিচারের ইতিহাসে বাজে নজির হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে থাকা ব্যক্তিকে পলাতক ঘোষণা বেআইনি। ’
বিচার প্রক্রিয়ার ‘পর্যবেক্ষণ’ তুলে ধরে বিএনপির মুখপাত্র দাবি করেন, ‘রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কূটকৌশলের শিকার হয়েছেন খোকা। গোটা বিচার প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির এ নেতাকে হয়রানি করা, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা। এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক গতিতে সম্পন্ন হয়েছে এবং খোকাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। ’
এক-এগারোর সময়ের এই মামলা সেসময়কার অন্য অনেক মামলার মতো স্থগিত থাকলেও ‘সম্পূর্ণ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশে’ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ‘তড়িঘড়ি’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এইচএ