রাবি: খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে আঁতাত করেননি বলেই জাতীয় চার নেতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে যাতে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ না থাকে সেজন্য তাদের হত্যা করা হয়।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামরুজ্জামানের ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এএইচএম কামরুজ্জামান সম্পর্কে লিটন বলেন, তিনি গল্পে গল্পে রাজনীতি করেছেন। প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনতেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধের আগ মুহূর্তে জনগণের মাঝে বঙ্গবন্ধুর কথা পৌঁছে দিয়ে তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন। তিনি জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের নিয়ে রাজনীতি করতেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু পারেননি। তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা এখন দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মীর ইকবাল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান শেখ, মহানগর স্বেচ্ছাসেক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেল, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ইসতিয়াক লিমন, রাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ও মেহেদী হাসান বারী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৫
এমজেড