ঢাকা: পৌর নির্বাচনের কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন পেছাতে পারে। এ বছর ডিসেম্বেরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
যদিও পৌরসভার নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়েই চলবে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও তোড়জোর। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন দুই এক মাস পেছাতে পারে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, পৌর নির্বাচনের কারণে সম্মেলন পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়। কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী সভায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার কথা রয়েছে। সেই সঙ্গে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিসহ বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হবে বলে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। গত ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ডিসেম্বরে সম্মেলন হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়েই আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে দলের নেতারা বলে আসছেন। শুধু তাই নয় নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের টার্গেট করে দলে প্রস্তুতিও চলছে। যে সব জেলায় সম্মেলন বাকি রয়েছে যে সব জেলা সম্মলেনও দ্রুত শেষ করার তোড়জোর চলছে। নভেম্বরের মধ্যেই জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার টার্গেট রয়েছে।
এদিকে দলীয় প্রস্তুতি ঠিক থাকলেও ডিসেম্বরে সারা দেশে অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনের কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে নির্বাচন কমিশন পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
নির্ধারিত সময়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন করতে গেলে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ডিসেম্বরে পৌর নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে দলের সম্মেলন করা সম্ভব নয় বলে দলটির একাধিক নেতা মন্তব্য করেন। এ অবস্থায় সম্মেলনের তারিখ পেছানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই বলেও তারা জানান। তবে এ ব্যাপারে তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডস সফরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হবে। ওই সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নেতারা জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনের তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি। শুধু ডিসেম্বরে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পৌর নির্বাচনের মধ্যে সম্মেলন করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে দলে কোনো আলোচনা হয়নি। তাই সম্মেলন পেছাবে না নির্দিষ্ট সময়ে হবে সে ব্যাপারে আগেই মন্তব্য করা যাবে না। আওয়ামী লীগ ৭ দিন সময় নিয়েও সম্মেলন করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসকে/এমজেএফ