ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্যের ডাক

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৫
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্যের ডাক ছবি :শাকিল / বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, পরিস্থিতি এখনই মোকাবেলা করা না গেলে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।



শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আহ্বান জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (একাংশের) প্রয়াত চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের প্রতি ‘নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিএনপিপন্থি শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সমাজবিজ্ঞানী ড. মীজানুর রহমান শেলী, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সৈয়দ শফিউল্লাহ, কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেন, মানুষের মাঝে, জনগণের মাঝে ফিরে আসুন। অাকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসুন। দেশ রক্ষায় কথা বলুন। জাতীয় সরকার গঠন করুন। মাটিতে আপনাদের নামতেই হবে। এখনই এই সমস্যার সমাধান না করা গেলে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। সেটা জাতির জন্যই অমঙ্গল হবে।

কাজী জাফর আহমদের স্মৃতিচারণ করে বি. চৌধুরী বলেন, কাজী জাফর কেবল রাজনীতিকই ছিলেন না, তিনি ছাত্রনেতা, শ্রমিক নেতা, জননেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ বক্তা। তিনি যেমন সাধারণ মানুষকে নিয়ে চিন্তা করতেন, তেমনি চিন্তা করতেন শ্রমিকদের নিয়েও। তিনি জনতার-শ্রমিকের দাবি আদায়ের আন্দোলনে অগ্রভাগে থাকতেন।

সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের জন্য রাজনীতি করার যে সংস্কৃতি, এখন সেটা নেই। সে সংস্কৃতির অধঃপতন ঘটেছে। এখন সবাই হঠাৎ নেতা হয়ে যায়। এটা দেশ-জাতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। রাজনীতি হতে হবে মানুষের জন্য। কাজী জাফর মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন।

বি. চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, আজকে দেশে নির্বাচিত সরকার নেই। অথচ তারা বলেছিল নিয়মরক্ষার নির্বাচনের পর নতুন নির্বাচন দেবে। নিজেদের সে কথা তারা মানেনি। সে নির্বাচন শুদ্ধ করারও চেষ্টা করেনি। তাই এখন একের পর এক অন্যায় হচ্ছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। কাজী জাফর বেঁচে থাকলে এসবের বিরুদ্ধে লড়ে যেতেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সম্প্রতি সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। আমরা মনে করি বিএনপি তো নয়ই, কেউই জঙ্গিবাদের উত্থান হোক- সেটা চায় না। তাই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে।

অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, আমাদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় সংহতি দরকার।

নজরুল ইসলাম খান, কাজী জাফর ছিলেন গণআন্দোলনের অগ্রদূত। তিনি শ্রমিক-জনতা সবার কথা ভাবতেন।

কাজী জয়া তার বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন এবং কাজী জাফর আহমদের আদর্শ ও চিন্তাধারা বাঁচিয়ে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
এমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।