ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন সরকারের বড় ভয় এখন বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব তারেক রহমান। তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় তারেকের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে যুবদল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারেকের বিরুদ্ধে যেসব মামলা তার একটি মামলারও সত্যতা মেলেনি। কেননা তিনি কোনো দুর্নীতি করেননি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বানোয়াট। জনসমক্ষে তারেককে হেয় করার জন্যই মামলা দেওয়া হচ্ছে।
সরকার মনে করে আগামীতে তারেক হবেন তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। কেননা তার বাবা ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক এবং দেশের জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান। তার মাও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
নজরুল ইসলাম তারেকের দূরদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন, তিনি দলকে তৃণমূল থেকে সংগঠিত করেছেন। সরকার বুঝতে পেরেছে তারেককে ঠেকাতে না পারলে বিএনপি শক্তিশালী দলে পরিণত হবে।
তিনি আরো বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে তারেক লন্ডনে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হয়েই বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবদল সহ সভাপতি ফজলুর রহমান, আব্দুল খালেক, কাজী রফিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশ এখন দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে চলছে। এ সরকার জুলুমবাজ সরকারে পরিণত হয়েছে। সরকারের কোনো অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই নেতাদের ধরে জেলে পুরে দিচ্ছে।
তারা বলেন, দেশের উদীয়মান নেতা তারেক রহমানকে ভয় পেয়ে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিচ্ছে। এ সময় তারা বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নতি স্বীকারে বাধ্য করা হবে।
তারা আরো বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে, নির্বাচন হলেই সেটা বোঝা যাবে। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তা কোনো নির্বাচনই ছিল না। তা বিদেশিদের চোখেও ধরা পড়েছে। এ সময় তারা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫/আপডেট: ২০০৫
এসএস/আরএ