বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে: বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার প্রথম সোপানে পা রেখেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি আর জ্বালাও-পোড়াও না করেন, স্থির থাকেন; তবে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে, এ লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। দেশ নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন আছে। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি করে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। মায়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয় করেছি। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পাঁচ কোটি মানুষ নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত কাতারে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার প্রথম সোপানে পা রেখেছে।
এসময় বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা উন্নয়ন তো করেই না, ক্ষমতায় থাকলে লুটপাটে ব্যস্ত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া ৩৪ দিন অবরোধ করেছিলেন নির্বাচন ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়ে। এই ৩৪ দিনে ১৩৫ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাদের। নির্বাচনের দিনই ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা মানুষ হত্যা ছাড়া আর কিছু পারে না। এ কারণে তিনি ও তার ছেলে খুনি হিসেবেই এদেশের মানুষের কাছে সারাজীবন চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।
সভায় বগুড়াবাসীকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা দেন, বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম বানিয়ে দেওয়া হবে। বগুড়াকে আবারও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকার মানুষ কাউকে বঞ্চিত করে না, বরং দেয়। নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট পাওয়া দল সরকার গঠন করলে সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। উত্তরবঙ্গ একসময় মঙ্গাপীড়িত ছিল, এখন সেই মঙ্গা নেই। আমরা খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আর তারা কেবল মানুষ খুন করে।
এসময় বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর বিএনপির হামলার চিত্রও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী দেশ ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম, অনেকে হাসাহাসি করেছিল। এখন দেখুন ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবাই সুফল পাচ্ছে। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু তনয়া বলেন, স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, সারাটা জীবন কারাগারে কাটিয়েছেন। কারণ তিনি দেখেছিলেন, এ দেশের মানুষ দুর্ভাগা। তাই এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এইচএ/
** তিনি ও তার ছেলে খুনি হিসেবে পরিচিত থাকবেন
** বিদেশে দেশি-বিদেশি হত্যার চক্রান্তে তারেক
** স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন জাতির পিতা
** আসন কম পেলেও বগুড়ার উন্নয়নে অবহেলা করিনি
** জনসভা মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী
** প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনস্রোত
** বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা চলছে
** প্রধানমন্ত্রীর জনসভা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন যুবক আটক
** পতাকার মর্যাদা যেনো ক্ষুণ্ণ না হয়
** প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নেতা-কর্মীদের ঢল
