ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সাতদিনের রিমান্ড আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তবে প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন এম মনজুর আলম।
সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মান্নার রিমান্ড চলাকালেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকেও আসামি করা হয়।
রিমান্ড চলাকালে সময়ে তিনদিন পর মান্না অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পর বাকি থাকা সাতদিনের রিমান্ডের বিষয়ে আবারও আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
সে আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন।
এ আবেদনের শুনানি করে উচ্চ আদালত মান্নাকে রিমান্ডে নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করে।
বৃহস্পতিবার এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নার সঙ্গে নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকার টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ক্লিপ গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এতে মান্নার বিরুদ্ধে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। সে ভিডিও ক্লিপে ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার সঙ্গে আলাপচারিতায় সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়। এই কথোপকথন ফাঁসের পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মান্নাকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০,২০১৫
ইএস/এএ