ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
‘রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত/ফাইল ফটো

ঢাকা: ‘রাষ্ট্রীয় মদদে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ’

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ট্রাইব্যুনালে এ জবানবন্দি দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।



এদিন তার আংশিক জবানবন্দি নেওয়া হয়। বাকি জবানবন্দি ও জেরার জন্য মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় কার্যক্রম চলছে। মামলার ২০৩তম সাক্ষী হিসেবে এ জবানবন্দি দিয়েছেন সুরঞ্জিত।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বাংলানিউজকে বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বিচারক মামলার জবানবন্দি গ্রহণ স্থগিত রেখে মঙ্গলবার বাকি জবানবন্দির দিন ধার্য করেছেন।

এ মামলায় জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম। আজ (সোমবার) তারা আদালতে হাজির ছিলেন।

অন্যদিকে এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৪ জন কারাগারে আছেন।

এছাড়া গত ২১ নভেম্বর রাতে এ মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
 
এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমআই/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।