ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য (এমপি)-মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে অংশ নিতে পারবেন না। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসির উপ-সচিব মো. সামসুল আলম নির্দেশনাটি ২৩৪ পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে- ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান বা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমপি, অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
একই সঙ্গে নির্দেশনায় সংসদ সংদস্যরা নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করলে সে বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী এলাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গেলেও কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না বলে বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী।
নির্বাচন আচরণবিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য (এমপি) এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯২৩ জন এবং কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার ১২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন নির্বাচনে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
ইইউডি/আইএ
** ফোর্স থাকছে ৭০ হাজারের বেশি
** প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর ১১১২২, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৩৪