ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যুদ্ধদিনের স্মৃতি

‘জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে এক সেকেন্ডের তফাত ছিল’

সাক্ষাতকার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
‘জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে এক সেকেন্ডের তফাত ছিল’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৩১ জুলাই ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিট, ১৯৭১। জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপুর শত্রু অবস্থানের দিকে এগিয়ে চলছি।

পাশেই আমার বেতারযন্ত্রের অপারেটর সিরাজ। শত্রুপক্ষ আমাদের অগ্রসরমান শরীর দেখতে পাচ্ছে। আমরা শুধু দেখতে পাচ্ছি ওদের বাঙ্কারের ভেতরে তাক করা রাইফেল ও মেশিনগানের কালো নল আর গুলির ফ্লাশ। একটি ছোট নালা পেরিয়ে কাঁটাতার অতিক্রম করে পাশাপাশি এগিয়ে চলছি আমরা। হঠাৎ বেতারযন্ত্র বহনকারী সিরাজ মাটিতে পড়ে গেল। তার একটি পা অ্যান্টি পারসোনেল মাইনের আঘাতে উড়ে গেল। তার থেকে আমার দূরত্ব ছিল ৬ ইঞ্চি। জীবন আর মৃত্যুর মধ্যে এক সেকেন্ডের তফাত!!

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বনানীর বাসায় বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে যুদ্ধদিনের স্মৃতি থেকে কথাগুলো বলছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম।
 
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট থেকে যে ক’জন বাঙালি সেনা অফিসার বিদ্রোহ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাদের মধ্যে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ অন্যতম। কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম একটি যুদ্ধ হচ্ছে জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত কামালপুরের যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ৩১ জুলাই কামালপুরে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে ব্রাভো কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
 
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরবিক্রম খেতাপ পাওয়া এই মুক্তিযোদ্ধা এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। ২০০১-২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
 
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের সাক্ষাৎকারটি নেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আসাদ জামান। ছবি তুলেছেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট কাশেম হারুন
 
যেভাবে শুরু-

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: ১৯৭১ সালের ৩০ শে মার্চ তারিখে যশোর ক্যান্টনমেন্টের প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে সাথে নিয়ে বিদ্রোহ করি। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ৮ ঘণ্টা ব্যাপী যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে উভয় পক্ষের ব্যাপক হতাহত হয়। আমাদের পক্ষে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন শহীদ হন। পাকিস্তানিদের ক্ষয়-ক্ষতি আরো বেশি হয়েছিল। বিকেল চারটার দিকে যখন আমাদের গোলা-গুলি শেষ হয়ে আসে। তখন আমি ২শ’ সৈনিক নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসি। বাইরে আসার পর জানতে পারলাম-এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
 
এর আগে কিছু বুঝতে পারেননি-
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: আমি ফুটবল খেলা নিয়ে থাকতাম। পূর্ব পাকিস্তানে আসি ১৬ মার্চ। তার আগে ৭ মার্চের ভাষণ শুনিনি। জিয়াউর রহমানের বেতার ভাষণও আমি শুনিনি। আসার পর সীমান্ত এলাকায় বনে-জঙ্গলে ট্রেনিংয়ে ছিলাম। ওখান থেকে ২৯ তারিখে আমাদের ফিরে আসতে বলা হয়। আমরা গভীর রাতে ফিরে আসি। ৩০ তারিখ সকাল বেলা আমাদেরকে নিরস্ত্র করার অর্ডার দেওয়ার সাথে সাথে আমরা বিদ্রোহ করি। এর আগে পর্যন্ত আমাদের কোনো ধারণা ছিল না।
 
বাইরে এসে কী দেখলেন-
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম:  মনে করেছিলাম আমি বোধ হয় একমাত্র বিদ্রোহী অফিসার। কিন্তু বেরিয়ে এসে জানতে পারলাম অন্যান্য জায়গায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বিদ্রোহ করেছে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হবার পর দেখলাম হাজার হাজার মানুষ দা-খোন্তা-লাঠি, দেশি অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ‘জয়বাংলা’ বলে আমাদের আলিঙ্গন করছে। গাছের ডাব পেড়ে খাওয়াচ্ছে।
 
তারপর...
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম:  বেরিয়ে আসার পর আমি মূলত বেনাপোল এলাকাতে যুদ্ধ করি। আমার সেনাদলকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাটেলিয়নে পরিণত করতে দুই শত নিয়মিত সৈনিকের সঙ্গে আরো ৬ শ’ সাধারণ তরুণ যুবককে রিক্রুট করি। জেনারেল ওসমানীর নির্দেশেই এটা করা হয়। রিক্রুট করা এই যে ৬শ লোক ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মুদি দোকানি, ট্রাকড্রাইভার, বাসড্রাইভার, হেলপার, বিভিন্ন পেশা থেকে আসা।
 
মুক্তিযুদ্ধে কেমন ভূমিকা রাখতে পেরেছে এরা-
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম:  রিক্রুট করা ৬শ’ সৈন্যকে আমরা ৬ সপ্তার ট্রেনিং দিই। ট্রেনিং পাওয়ার পর এরা দুধর্ষ বাহিনীতে পরিণত হয়। সমস্ত সেনাবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাহসিকতার পুরস্কার পায় আমার ব্যাটেলিয়ানের যোদ্ধারা। বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান ছিলেন আমার ব্যাটেলিয়নের। এই ৬শ’র মধ্যে অনেকেই বীর বিক্রম, বীর উত্তম, বীর প্রতীক খেতাব পায়। এদের অধিকাংশই স্বাধীনতার পর নিজ নিজ পেশায় ফিরে যান।

কামালপুর যুদ্ধ....
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: আমার ব্রাভো কোম্পানি, সালাহ্উদ্দিনের ডেলটা কোম্পানি ও ক্যাপ্টেন মাহবুবের আলফা কোম্পানি কামালপুর বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) প্রথম আক্রমণ করে ৩১ জুলাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই বহু লোক হতাহত হয়। আমাদের সাইডে ৩৩ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হয়।
 
কামালপুরের যুদ্ধ ইতিহাসে এত বিখ্যাত কেন…
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: কামালপুর বর্ডার আউট পোস্ট ছিল (বিওপি) পাকিস্তানিদের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে বাংকারগুলো ছিল কংক্রিটের। কংক্রিটের ওপরে দেওয়া ছিল কাঠের গুড়ি। আর্টিলারি শেল ডাইরেক্ট হিট করলেই কেবল এই বাঙ্কার ধ্বংস হতে পারত। মর্টার শেল বা মেশিনগানের গোলাতে এর কিছু হয় না। চারিদিকে ছিল মাইন বিছানো। চারপাশের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছিল, যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিস্কার দেখা যায়।
 
আমরা যখন আক্রমণে যাই, তখন পাকসেনারা বাঙ্কারে। আমরা কেবল তাদের রাইফেলের নলগুলো দেখতে পাচ্ছিলাম। তাও ফ্লাশের সময়। আর তারা আমাদের পুরো বডি দেখতে পাচ্ছে। দেখে দেখে ফায়ার করতে পারছে। আমাদের যাতে দেখতে না পারে, সে জন্য কামানের গোলার প্রয়োজন ছিল। কামানের গোলা আশপাশে পড়লে ওর বিকট শব্দ ও আলোতে চোখ ঝাঁপসা হয়ে যায়,  এদিক ওদিক তাল ঠিক রাখা যায় না। সেই জন্য আমরা কামান আক্রমণে গিয়েছিলাম। কিন্তু গোলমাল বাধলো অন্য জায়গায়।
 
কোন জায়গায়…
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম:  কথা ছিল, ভারতীয় মাউন্টেন ব্যাটারি হাল্কা গোলা বর্ষণ করে প্রথাগত আক্রমণে আমাদের সহায়তা করবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগেই অনির্ধারিতভাবে আমার কোনো নির্দেশ ছাড়াই মাউন্টেন ব্যাটারি শত্রু অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে। কোনো গোলাই শত্রু অবস্থানে পড়ছে না, লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে। সদ্য ট্রেনিং নেওয়া সৈন্যদের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। তবুও বহু কষ্টে এক সময় ফরমিং আপ প্লেস পজিশন নিয়ে ‘জয়বাংলা’ রণধ্বনি দিয়ে শত্রু বাঙ্কারে আক্রমণ চালালাম। আগোছালো যুদ্ধে অনেক সহযোদ্ধাকে হারাতে হলো।  
 
সহযোদ্ধাদের হারানোর স্মৃতি থেকে কিছু বলুন…

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম:  দুইটা কোম্পানির দায়িত্বে ছিলাম আমি আর সালাহউদ্দিন। একটি ছোট নালা পেরিয়ে কাঁটাতার অতিক্রম করে পাশাপাশি  এগিয়ে চলছি আমরা। হঠাৎ বেতারযন্ত্র বহনকারী সিরাজ মাটিতে পড়ে গেল। তার একটি পা অ্যান্টি পারসোনেল মাইনের আঘাতে উড়ে গেল। তার থেকে আমার দূরত্ব ছিল ৬ ইঞ্চি। জীবন আর মৃত্যুর মধ্যে এক সেকেন্ডের তফাত!!
 
তারপর…..

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: বেতারয্ন্ত্র আরেকজনের কাধে তুলে দিয়ে আমরা গ্রেনেড ছুড়ে এগিয়ে গেলাম দ্রুত দু’টি বাঙ্কার দখল করলাম। চারিদিকে আর্তনাদ শুনছি। বেতারযন্ত্রে সালাহ্উদ্দিন ও মঈনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকেই সাড়াশব্দ পেলাম না। একটু পরেই আমার কোম্পানির সুবেদার খায়রুল বাশার এসে জানালো অনেক সৈনিক হতাহত হয়েছে। ডেলটা কোম্পানির ক্যাপ্টেন সালাহ্উদ্দিনও শহীদ হয়েছেন।
 
এমন সময় আমার কাছেই মর্টারের একটি শেল ফাটল। তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে শুয়ে পড়লাম। হাতে কাঁধে কয়েকটি তীক্ষ্ণ টুকরো ঢুকল। শার্টের কিছু অংশ রক্তে ভিজে গেল। দুইজন ধরাধরি করে আমাকে পেছনে নিয়ে যায়। সালাহউদ্দিন নিহত ও আমি আহত হওয়ায় আমাদের দু’টি কোম্পানিই কাণ্ডারিবিহীন হয়ে পড়ল। ফলে পাকসেনাদের কয়েকটি বাঙ্কার দখল করেও আমাদের পিছিয়ে আসতে হল।
 
শুরুতেই বলছিলেন মাত্র ৬ সপ্তাহের ট্রেনিং বেসামরিক যোদ্ধাদের নিয়ে কামালপুর আক্রমণে গিয়েছিলেন। তারপরও সুসজ্জিত শত্রুপক্ষের ভিত কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম হলেন কীভাবে…
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনতার যুদ্ধ, সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। ঘর বাড়ি ছেড়ে হাজার হাজার লোক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। হেলায় জীবন দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল। মাত্র্র ৬ সপ্তাহের ট্রেনিংপ্রাপ্ত দুঃসাহসী দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে মাইনফিল্ডের মধ্য দিয়ে বাঙ্কারের সামনে গেছে, এটা রেগুলার কোনো আর্মির পক্ষে সম্ভব ছিল না। হাইলি মোটিভেটেড মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে এই ধরনের আক্রমণ করা সম্ভব।
 
বলছিলেন হাইলি মোটিভেটেডের কথা; এটিই বা সম্ভব হল কীভাবে…
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ও অন্যান্য জায়গায় পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, লুটিং রেপিং, জ্বালাও পোড়াও ও মানবাধিকার লংঘন দেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। আপামর জনসাধারণ প্রতিবাদ মুখর হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
 
সুসজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের কারণ কী….
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: একটা বাহিনী আরেকটা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানিরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে। এ জন্য তারা পরাজিত হয়েছে। এই যুদ্ধে বাংলার কৃষক, শ্রমিক, জনতা, ছাত্র, যুবকরা যেভাবে অংশ নিয়েছে, তা বাঙালি জাতির এক গৌরবময় ইতিহাস। সাধারণ মানুষের দেশপ্রেম এবং দেশের জন্য জীবন দেওয়ার যে আকুতি, এটি দেখতে পেয়ে আমি বিস্মিত ও অভিভূত হয়েছি।   আমরা বাঙালিরা সাহসী জাতি। তাদের প্রয়োজন সঠিক দিক নির্দেশনার।

স্বাধীন বাংলাদেশে চুয়াল্লিশ বছর….
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: সেদিন তরুণ ছিলাম, অবিবাহিত ছিলাম, সংসারের জন্য কোনো পিছুটান ছিল না। রাজনীতির ধারের কাছ দিয়ে হাঁটতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। ফুটবল খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। বাবা তিন বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ওসব ব্যাপারে কোনো খোঁজও নিতে যাইনি। দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীন হয়েছে। আত্মপ্রসাদ এখানেই।

ধন্যবাদ…
 
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম: আপনাকেও ধন্যবাদ
 
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এজেড/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।