ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের শুভ বুদ্ধির উদয় হলেও আমরা শঙ্কামুক্ত হতে পারছি না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিফ্রিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আমরা দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উত্থাপন করেছি সরকারের বিভৎস দলবাজী ও দুর্বৃত্তপনার নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে। এমনকি নির্বাচন কমিশনেও বিএনপির প্রতিনিধি দল ও আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ও প্রার্থীর প্রতিনিধিরাও বিভিন্ন অভিযোগ তাদেরকে অবহিত করেছেন। গতকাল বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দেখেছি-নির্বাচন কমিশন বিএনপির অভিযোগ তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তে কমিশনের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মনে হলেও আমরা আশঙ্কামুক্ত হতে পারছি না। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত অনিয়ম ও সহিংস তান্ডব ঠেকাতে কমিশনের নিষ্ক্রিয় পদক্ষেপ ছাড়া আর কোনো ভূমিকাই জনগণ দেখতে পায়নি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের অটো এমপি ও মন্ত্রীরা অবলীলায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে যাচ্ছেন। মুক্তিপণ আদায়ের মতো ধানের শীষের প্রার্থীদের কিডন্যাপ করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের স্বাক্ষর গ্রহণ করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হলফনামায় তথ্য গোপন করলেও কমিশন কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যৌথবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে পৌর নির্বাচনী এলাকাগুলোতে মূলত: সাধারণ ভোটারদেরকেই মোকাবেলা করছে বাড়াবাড়ী রকমের বল প্রয়োগ করে। নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার এখনও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ শাসকদলের লোকেরা আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশনের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-কমিশন ডিসকাউন্ট রেটে নয়, একদম বিনা পয়সায় শাসকদলের অশুভ ইচ্ছার কাছে নির্বাচনী পরিবেশ বিক্রি করে দিয়েছে।
রিজভী বলেন, আমরা মনে করি-ঢালাও দমন-পীড়ণ মোকাবেলা করতে একমাত্র ধারালো অস্ত্র হচ্ছে সংগঠিত জনগণের সম্মিলিত শক্তি। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে হলেও গণতন্ত্র প্রসারিত করতে সরকারের সকল চক্রান্ত, জুলুম-নির্যাতন ঐক্যবদ্ধ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিহত করে আগামী পৌর নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
বিএস