ইবি (কুষ্টিয়া): শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সাইদুর রহমান বাবু নামের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এছাড়া আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের শিশির ইসলাম বাবুর আবস্থা গুরুতর।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কথা ছিল। দুপুর ১২টার দিকে সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের হালিম, আরাফাত এবং চাকরি প্রত্যাশি জাপানসহ কয়েকজন ভিসি অফিসে গিয়ে এ নিয়োগ বোর্ড বন্ধের দাবি জানায়।
এ সময় খবর পেয়ে সভাপতি সাইফুল ইসলাম, শিশির ইসলাম বাবুসহ কয়েক নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে সহ সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন এবং বোর্ড করার দাবি জানান।
এ সময় চাকরি প্রত্যাশী জাপান তাদের চাকরি না দিয়ে বোর্ড করতে দেওয়া হবেনা জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংর্ঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে সহ সভাপতি গ্রুপের সাইদুল ইসলাম বাবুর পায়ে গুলি লাগে।
এছাড়া ইবি ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, শিশির ইসলাম বাবু, নোমান, আতাউর হালিম, আরাফাতসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে শিশির ইসলাম বাবুর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তার মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা।
এদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা দলীয় টেন্টে এবং সহ সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমবাগানে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
আরএ