ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশ চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে দুর্নীতি অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় পার্টি (জেপি) আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
দুর্নীতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হলে গণতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র আজ একটা কঠিন অবস্থানের মধ্যে আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে সংসদ ভেঙে যেত। তখন হয় সামরিক বাহিনী অথবা অনির্বাচিতরা দেশ পরিচালনা করতো। নির্বাচিতরা যাতে দেশ পরিচালনা করতে পারে সে জন্য ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অপরিহার্য ছিল।
পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপি হবে- এমন অভিযোগ যারা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে মোজাম্মেল হক আরও বলেন, এমন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখা যাবে না। গাজীপুরে সিটি নির্বাচনে আমরা তো বীরত্বের সাথে হেরে গেছি। আমরা তো কারচুপির কথা বলিনি। যারা এসব বলে তারাই ৫ হাজার স্কুল পুড়িয়েছে। এসবের পরও নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যেত, গণতন্ত্রের কবর রচনা হতো। সেই কবর রচনা থেকে আমরা রক্ষা করেছি। আমরা নির্বাচন করেছি। এটা মন্দের ভালো। সবাই যদি নির্বাচনে আসতো তবে তা শক্তিশালী হতো।
গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হলে সুশাসন অপরিহার্য। নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ব্যাহত হতো, সুশাসন নস্যাৎ হয়ে যেত বলেও মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিলেন তা তারা পারেননি। কারণ বাংলার জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের মিথ্যা কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি। সুশাসনের প্রধান গ্যারান্টি গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যখন ব্যাহত হয় তখন সুশাসন ধ্বংস হয়ে যায়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এমআইকে/এমজেএফ