ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দিকে নানা অভিযোগ তুলে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে সংশয় জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক)। তবে কিছু ‘যদি’র সমন্বয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব বলেও মত এর নেতাদের।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে সুজন। আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য জানাতে সম্মেলন করেন তারা।
সুজনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. হামিদা হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য দিলীপ কুমার সরকার।
এতে তারা কয়েকটি ধাপে সংশয়ের কারণগুলো তুলে ধরেন।
তারা বলেন, পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে জনপ্রশাসন থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ সন্দেহের উদ্রেক করেছে।
ফেনী জেলার ফেনী, পরশুরাম ও দাগনভূঁঞা পৌরসভার সাধারণ ও সংরক্ষিত আসন মিলে মোট ৪৮টি ওয়ার্ডের ৩৩টিতে মাত্র একজন করে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বিএনপি এ ক্ষেত্রে অভিযোগ তুললেও ইসি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
মাগুরা সদর, খুলনার পাইকগাছা, বরগুনার বেতাগীতে নির্বাচনী আইন ভেঙে একজন করে প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ, সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে জানিয়েছে, এসব দায় রিটার্নিং কর্মকর্তার।
‘যদি’
এখন কয়েকটি ‘যদি’র উপর নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নির্ভর করছে বলেও মনে করছেন তারা।
“নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি যথাযথ ভূমিকা পালন করে, তাহলে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ হতে পারে। ”
তারা বলেন, সরকার, ইসি, রাজনৈতিক দল, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ব্যক্তি, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, প্রার্থী-সমর্থক, সচেতন নাগরিক এবং ভোটাররা যদি নিজ নিজ ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, সার্বিক চিত্র দেখে আশাবাদী হওয়া দুরুহ, তবু সবাই ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে ভালো কিছু আশা করি।
সেনা মোতায়েন নয়
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে আগের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
বাক স্বাধীনতা হরণ করছে ইসি
নির্বাচন কমিশন এখনও প্রার্থীদের যথাযথ তথ্য প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ করেন নেতারা। তারা বলছেন, তথ্যের ভিত্তিতেই প্রার্থীদের বিষয়ে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেবে। তাই সকল প্রার্থীর দাখিলকৃত হলফনামা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রার্থীদের তথ্য প্রচার করতে হবে। এটি এখনও না করে ইসি বাক-স্বাধীনতা হরণ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
এসকেএস/এটি