গোপালগঞ্জ: যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচারই করা হবে না, তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, এ সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সংসদে আলোচনা করা হয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। ওরা ৭১’র পরাজয়ের গ্লানি এখনও ভুলতে পারেনি।
জামায়াত নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। ৪৪ বছর পরও তাদের স্বভাব পরিবর্তন হয় নাই। তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। অচিরেই তাদের নিষিদ্ধ করা হবে, বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তাদের দুইটি করে বোনাস দেওয়া হবে। আর আগামী জুন মাস থেকে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৭০৫টি যুদ্ধক্ষেত্রে একই ডিজাইনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া গণকবরগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদীর গামা, সহ সংগঠনিক সম্পাদক এস এম মজিবুর রহমান, সদস্য মিয়া মুজিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুর হক নুরুজ্জামান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার ক্যাপ্টেন নুর মোহাম্মদ বাবুল, গোপালগঞ্জ জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম মোহসীন আলী, খান ওয়ালিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মশিউর রহমান খান, খালিদ হোসেন লেবু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এসআর