বগুড়া: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ত্রিমুখী সংঘর্ষে শ্রমিক লীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম (৩২) নিহত হওয়ার ঘটনায় পৌর মেয়রসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) নিহতের বড় ভাই সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে নূর ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর বাংলানিউজকে জানান, মামলার তদন্ত করবেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন রেজা।
মামলায় হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সান্তাহার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম মিলন, গোলাম মোস্তফা সুটু ও আঙ্গুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় আটক আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু, সান্তাহার পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ও স্থানীয় বাসিন্দা সজল হোসেনকে উক্ত মামলার গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সান্তাহার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে গত ৩ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। কিন্তু এ ঘটনায় তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে বলে শুনেছেন। এ ঘটনায় তাকে আসামি করা হলে এটা হবে সম্পূর্ণ মিথ্যা, অন্যায় ও হয়রানিমূলক কাজ।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমথর্কদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায়-দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
এতে স্থানীয় শ্রমিক লীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম (৩২) নিহত হন। শফিকুল ইসলাম আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজার ভাই।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক সোহাগ হোসেন (২৬) শনিবার (০৯ জানুয়ারি) মারা যান। সোহাগ নওগাঁ সদর উপজেলা দোগাছি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
এমবিএইচ/জেডএস