ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জঙ্গি সম্পৃক্ততায় তিন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
জঙ্গি সম্পৃক্ততায় তিন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার দাবি ছবি: সুমন শেখ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জঙ্গি সম্পৃক্ততায় বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন, হান্নান শাহ ও রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোশারফ হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জান‍ান।

হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিরা দেশে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিলো। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৯জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এই সফল অভিযানের জন্য কোথায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাবে তা নয়, উল্টো বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন, হান্নান শাহ এমনকি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও জঙ্গিদের নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

৯জন জঙ্গি নিহতের পর পুলিশ তাদের ছবি আপলোড করেছে। অথচ এরা নাকি জঙ্গি ছিলো না মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। হাছান মাহমুদ বলেন, জঙ্গিদের পেছন থেকে বিএনপি নেতারা বাতাস দিচ্ছেন। জঙ্গিদের মারলে তারা মায়া কান্না করছেন।

বিএনপির এই নেতারা জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নেতাদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিলেই বিএনপি যে জঙ্গিদের পেছন সহযোগিতা রয়েছে তা প্রমাণিত হবে।

বিএনপিকে হটকারী ও মিথ্যা রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের দলে জঙ্গি রেখে আবার জঙ্গি বিরোধী জাতীয় ঐক্য গঠন করতে চায়। এটা রাজনীতির নামে বিএনপির প্রতারণা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএস বলে কিছু নেই। সম্প্রতি জঙ্গি হামলা করছে জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদ, তাদের পেছন থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। আর আন্তজার্তিকভাবে আইএস নামকে ব্র্যান্ড করতে দেশের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যারা প্রধানমন্ত্রীর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য হাছান মাহমুদ বলেন, রাপমাল নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু যখন দেশে জঙ্গি হামলা চলছে, তখন ঢাকাসহ সারাদেশে জঙ্গি বিরোধী কর্মসূচি না দিয়ে রামপালের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি দিচ্ছেন। এটার প্রকৃত অর্থই হচ্ছে দেশকে অশান্ত করা।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম ও বঙ্গবন্ধু সাংকৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
এসএফআই/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।