ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: মেনন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৬
জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: মেনন

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস অবশ্যই বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

‘জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন পারমাণবিক বোমা হামলার ৭১তম বার্ষিকী’ উপলক্ষে শনিবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পাশাপাশি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করারও কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করার কোনো কারণ অন্তত পক্ষে আমার কাছে নেই। জামায়াতের অর্থের উৎস, জঙ্গিবাদী অর্থায়নের উৎস অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
 
জাতীয় সংসদে জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর অর্থের উৎস নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব উপস্থাপনের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, কোন মন্ত্রণালয় সেটা করবে তাও আলোচনা হলো। কিন্তু পরবর্তীতে আর আলোচনা এগোয়নি। আমি বহু চেষ্টা করেছি, আর আলোচনা আসেনি।
 
স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের পরিচালিত ‘পিস স্কুল’ বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পিস স্কুল তো আমাদের চোখের সামনে গড়ে উঠেছে। কোচিং সেন্টারগুলো-রেটিনা, উদ্ভাস আমাদের চোখের সামনে এখনও চলছে। এ ব্যাপারে কারও কোনো উদ্বেগ আমি দেখিনি।
 
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো বড় কাজটি করে ফেলেছি। কিন্তু তাদের রাজনীতি এখনও বন্ধ করতে পারিনি। সেই যুদ্ধাপরাধীরা এখনও রাজনীতি করে যাচ্ছে। তাই তাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত এখনও করা হয়নি।
 
ভোটের রাজনীতি নিয়ে মেনন বলেন, ভোটের হিসাব অব্যশই গণতান্ত্রিক। কিন্তু সেই ভোটের রাজনীতি অনেক সময় বুমেরাং হয়ে যায় যদি সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি না করতে পারি। আমাদের দেশের আজকে যে সমস্যা, লড়াই আমাদেরই করতে হবে।
 
জঙ্গিবেরোধী তৎপরতা যতই বাড়বে, ডেমোক্রেটিক স্পেস ততোই কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন মেনন।
 
তিনি বলেন, শোলাকীয়ার জঙ্গিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন জনের বক্তব্য পড়ছিলাম। বিভিন্নজন বলছে এটা তো হতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ডেমোক্রেটিক স্পেস কমে যাবে। এটাকে অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। আর এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, যেসব দেশে এসব ঘটছে, সেসব দেশেই গণতন্ত্রের জায়গা কিছুটা হলেও কমে যাচ্ছে।
 
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজতি আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম আকাশ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ আলম লেলিন, মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের সারওয়ার আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
সিদ্দিকুর রহমান স্মরণসভায় মেনন
ওই সভার পর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমানের স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন রাশেদ খান মেনন।
 
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতি নিয়ে সিদ্দিকুর রহমান চিন্তা করেছেন উল্লেখ করে মেনন বলেন, তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য বাম শক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন। তার মতো নেতার মৃত্যু দেশের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
 
এ সময় কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, শোকসভা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আহমদ, জাতীয় কেন্দ্রীয় ফ্রন্টের নেতা মকসেদুর রহমান, গণতান্ত্রিক বাম ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সিদ্দিকুর রহমানের ভাতিজা হাফিজুর রহমান, সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
সিদ্দিকুর রহমান ১৯৬৪ সালে চটকল ম্রমিক ধর্মঘটের মাধ্যমে তৎকালীন আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করেছি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করতে ভূমিকা রেখছিলেন। ১৫ জুলাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৬
এমআইএইচ/ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।