ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করাই এখন আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। এটা নিশ্চিত করতে সরকারের উন্নয়নগুলোকে জনগণের মাঝে তুলে ধরাকেই এই মুহূর্তে প্রাধান্য দিচ্ছে দলটি।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অচিরেই প্রচার শুরু করা হবে বলে দলের নেতারা জানান।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে সামনে রেখে ভিশন-২০২১ এর ঘোষণা দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। সে অনুযায়ী সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে। আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হবে দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ। এর পর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে দল ক্ষমতায় আসবে সেই দলের সরকারই সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ভিশন নিয়ে আওয়ামী লীগ অগ্রসর হচ্ছে সেই ভিশন বাস্তবায়নে এই নির্বাচনে বিজয়ই এখন প্রধান লক্ষ্য।

এদিকে আওয়ামী লীগ ও সরকার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে সরকার। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। ওই নির্বাচন এবং নির্বাচনের পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকার ও আওয়ামী লীগকে। সে কারণেই আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ওই নির্বাচনে সব দল অংশ নিলে আওয়ামী লীগকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেও পড়তে হবে বলে দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন। এ কারণে আগে থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে দলকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত মাসের ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা জানিয়েছেন। তিনি এটাও বলেছেন, আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক আমরা চাই না।

আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান, সদ্য অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যমে সারা দেশে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাদেরকে নিয়োজিত করা হবে। যেটা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলকে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে সহায়ক হবে।
এই নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গত দুই মেয়াদে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। সেইসঙ্গে সরকার যে সব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সে সম্পর্কেও জনগণকে জানানো হবে। এসব কার্যক্রম শুরু করার জন্য জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি নেওয়া হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও এসব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

আগামী ৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভা। এ সভায় নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ ও কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সরকার বিভিন্ন সেক্টরে যে কাজগুলো করেছে সেগুলো জনগণের মাঝে তুলে ধরা হবে। আগামীতে সরকার কি করবে সে সব বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা হবে। জনগণের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীর  আরও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হবে।  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ই এখন আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রচার  শুরু করা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, জনগণ তার যে সুফল পাচ্ছে তা তৃণমুলের মানুষের কাছে তুলে ধরে নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এসকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।