ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত রায়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত রায়’ সংবাদিক চন্দন রহমানের ছড়ার বই ‘খোঁচা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান/ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত রায় আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জার্মানির মিউনিখে মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এ মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হিংসাশ্রয়ী, প্রতিহিংসার মামলা; এটা সবাই জানে। কিন্তু তার উদেশ্য ভিন্ন।

তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মিউনিখ থেকে বললেন এই মামলায় যা হওয়ার তাই হবে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে সংবাদিক চন্দন রহমানের ছড়ার বই ‘খোঁচা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী।

মিউনিখে বসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ের আভাস পাওয়া গেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এ মামলার রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত রায়, তার ইচ্ছের যে প্রতিফলন হতে পারে সেটা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে ওঠে। আদালত কী রায় দেবেন সেটা আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার বিষয়। কিন্তু তার আগেই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রায়ের একটি আগাম আভাস দিচ্ছেন মিউনিখ থেকে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে আদালত কখনোই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। তারা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মামলা করে আবার তার রায়ও নির্ধারণ করে। এখানে আদালতের ভূমিকা নেই বললেই চলে।

রাজনীতিতে সংস্কৃতিমনা কর্মীর অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কৃতিমনা ছেলেরা যত বেশি রাজনীতিতে যুক্ত থাকবে তত বেশি রাজনৈতিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এটা একটি উন্নত মানের শিল্পকলা। কিন্তু সংস্কৃতিবান ছেলেরা যখন রাজনীতির বিভিন্ন ডামাডোলে জায়গা পায় না, তখন সন্ত্রাসী ও মাস্তানরা এদের জায়গায় আভির্ভূত হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের একজন বড় নেতা টাঙ্গাইলের এমপিকে চড়, কিল-ঘুষি মেরেছেন। এটা কখনোই হতো না যদি সে দলে সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা থাকতো। তাহলে এরকম সংবাদ খবরের কাগজে বা গণমাধ্যমে আসতো না।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা সাংবদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, লাবনী প্রকাশনীর কর্ণধার ইকবাল হোসেন সালু, লেখক চন্দন রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এমএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।