রোববার (১৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নাসিম বলেন, ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়ই হিলারির পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভারত-পাকিস্তান ও ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ জীবন দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ এখন সাহসী। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস আর মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পুলিশের বন্ধু হবে, তবে মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেন কখনো প্রশ্রয় না পায়। আর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কর্মকর্তারা যেন নিজেকে পুলিশের হর্তাকর্তা না ভাবেন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সমাবেশে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হতো, সে অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। পুলিশের ওপর জনগণের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এটা একমাত্র সম্ভব কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংসদ সদস্য গাজী মম আমজাদ হোসেন মিলন, সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশীদ হাসান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ এর অধিনায়ক মো. শাহাব উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক বিমল কুমার দাস, জান্নাত আরা হেনরী, হেলাল উদ্দিন, গাজী সাঈদুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায় থেকে কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মসজিদের ঈমামসহ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
আরবি/এসআই
.jpg)
