ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গাইবান্ধার কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
গাইবান্ধার কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের নির্বাচনী সরঞ্জাম-ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: বুধবার (২২ মার্চ) অনুষ্ঠেয় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এরই মধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম কঠোর নিরপত্তার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো শুরু হয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জামাদি (ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্প প্যাড, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, গালা, অমোচনীয় কালি) প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিকেল নাগাদ তা প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। এসব নির্বাচনী সরঞ্জামাদি কঠোর নিরাপত্তা ও সর্তকতার সঙ্গে কেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছেন নির্বাচনে দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা প্রশাসন।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। সেজন্য সোমবার (২০ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

আবার বুধবার দিনগত রাত ১২টা থেকে ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের মোটরযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে চর এলাকার জন্য নৌযান চলাচল করতে পারবে।

রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনে ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৩৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ২৭৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোট কেন্দ্রে পাঁচ স্তরে প্রায় চার হাজার আইন-শৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

২০১৬ বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এরপর আসনটি শূন্য হলে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেন।

এ আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি (লাঙ্গল), জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক (মশাল), জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (সাইকেল), গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন (আপেল)।

উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।