শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (০৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট কামরুল।
বিএনপির একবার সহায়ক সরকার, আরেকবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলছে- সে প্রসঙ্গ টেনে কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থায় অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না।
‘খালেদা জিয়ার সাজা হলে কেয়ামত সৃষ্টির’ হুমকি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে সাজা দেবে না। আদালত যথা সময়ে বিচার শেষ হবে এবং আদালতে রায় দেবেই। এর সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ’
বিএনপির যে সব সন্ত্রাসী, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলবে। মামলা প্রত্যাহার বা তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হলে আইনের মাধ্যমে তা মোকাবেলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে কামরুল বলেন, আপোস করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
অনুষ্ঠানে কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর করা ট্রাইব্যুনাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে। যারা বলছে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করা হয়েছিল তারা বিভ্রান্ত করছে।
জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে প্রবেশ করেছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একাত্তরের ঘাতকদের সংগঠিত করেছিলেন জিয়া। আজকের বিএনপি একাত্তরের ঘাতকদের সংগঠিত একটা দল। বিএনপি মুসলিম লীগ, রাজাকার সবাইকে সংগঠিত করেছিলো; আজকের সেই দল বিএনপি। বিএনপি জামায়াতের গর্ভ থেকে বের হওয়া দল।
কামরুল বলেন, বিভাজনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান সৃষ্টি করেছিল, আর তা টিকিয়ে রেখেছেন খালদা জিয়া। এই বিভাজন শেষ করতেই হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমাম। এতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আব্দুল মান্নান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই