ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আদালতের পরাজয় আড়াল করতেই মজহার ইস্যু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৭
আদালতের পরাজয় আড়াল করতেই মজহার ইস্যু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ফাইল ফটো

ঢাকা: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলায় আদালতে পরাজয় আড়াল করতেই ফরহাদ মজহার ইস্যু সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
ব্যক্তিগত সফর শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর বুধবার (৫ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান বিএনপির মহাসচিব।

সেখানে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
 
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার সত্য তথ্য দিচ্ছে না। ফরহাদ মজহার অপহরণের ঘটনায় সরকার জড়িত না থাকলে সত্যটা বের করুক।
 
ফরহাদ মজহারকে একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যখনই কোনো কিছু সরকারের বিপক্ষে যায়, তখনই এমন ঘটনা ঘটে। ষোড়শ সংশোধনীর রায়টি দেওয়ার পরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি ডাইভারসন। মজার কথা হচ্ছে, ফরহাদ মজহারকে আজ যদি না পাওয়া যেত আমরা কী করতাম? কী করার ছিল? কারণ পুলিশ যেভাবে কথা বলছে তাতে বোঝা যাচ্ছে অপরাধ ফরহাদ মজহারেরই।
 
‘ফরহাদ মজহারের কোনো দোষ এখনও আমরা পাইনি’-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, তিনি কী বোঝাতে চান? সরকার কোনো ঘটনারই প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারছে না।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা কখনও চিন্তাও করিনি যে ফরহাদ মজহারের মতো একজন মানুষকে অপহরণ করা হবে। এটি একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি আর অবিশ্বাস্য নয়। কারণ, সরকার আমাদের অনেক নেতাকেই গুম করছে। আমাদের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদলের নেতাকর্মীদের গুম করছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছি। কারণ আমরাই সবচেয়ে বড় ভিকটিম। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার যে অবস্থা তাতে বিরোধীদল সব সময় ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
 
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে যখন বিচারক অপসারণের ক্ষমতা পার্লামেন্টকে দেওয়া হলো তখন আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলাম। কারণ এতে বিচারকরা সঠিক বিচার করতে পারবে কি না সন্দেহ থাকবে। সেদিক থেকে আমি মনে করি এটি (আপিল বিভাগের রায়) একটি স্টেপ ফরওয়ার্ড। এখন বিচারপতিরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ভীতি থাকবে না। কিন্তু আমাদের এটি দেখতে হবে যে পূর্ণাঙ্গ রায়ে কী আসে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এজেড/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।