শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অডিটোরিয়ামে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের নারীদের নিয়ে আজ গর্ব করা যায়।
নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের নারী আসন ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ জন করা হয়েছে এবং উপজেলা পরিষদে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করে নারীদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন।
মির্জা আজম বলেন, আগে দেখতাম গ্রামের মা-বোনেরা লাল মাটি দিয়ে মাথার চুল পরিষ্কার করতেন এখন স্প্যাম্পু ব্যবহার করে। কয়লা দিয়ে দাঁত মাজতো এখন টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজে। আগে গ্রামের নারীদের জন্য পুরনো কাপড় বিতরণ করতে গেলে হুমড়ি খেয়ে পড়তো। এখন নতুন কাপড় নিয়ে গেলেও তারা নিতে আসে না। দেশে বস্ত্রের অভাব এখন আর নেই। গ্রামে কোথাও কুড়ে ঘর পাওয়া যাবে না।
‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের শান্তি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী। ’
জামালপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রাশিদা ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভার উদ্বোধন করেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি সাফিয়া খাতুন।
কর্মীসভা বক্তব্য রাখেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা এমপি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, অ্যাডভোকেট আমানউল্লাহ আকাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন চাঁন প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিনা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
আরআইএস