রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঈদের পরে আন্দোলন করবেন। কিন্তু ঈদ গেলো- কোথায় তাদের আন্দোলন। রোজার ঈদ গেলে তারা বলে কোরবানির ঈদ, আবার বলে পরীক্ষা। এভাবে দেখতে দেখতে দিন, মাস, বছর কেটে আট বছর পার হয়েছে। আন্দোলনতো আর হলো না। বিএনপির মরা গাঙে আর জোয়ার এলো না।
দলীয় নেতাকর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভেদ ভুলে যান, দলের জন্য কাজ করুন। দল ভারী করার জন্য খারাপ লোককে দলে ভেড়াবেন না।
ওবায়দুল কাদের প্রত্যেকটি নির্বাচনী কেন্দ্রে দলের বাইরের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে এখন থেকেই কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধানের অধীনেই। সহায়ক সরকার নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে নির্বাচন।
প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। পরিচালনা করেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন শেখ হেলাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, বস্ত্র ও পাটপ্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, হুইপ সোলায়মান জোয়াদ্দার সেলিম, বীরেন্দ্রনাথ শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, নগর সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার, মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ ভট্টাচার্য, নড়াইল জেলা সভাপতি সুভাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান নিলু, বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি সরফুদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি আব্দুল হাই, মেহেরপুর জেলা সভাপতি ফরহাদ হোসেন ও খুলনা মহানগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ।
শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, ১৫ আগস্টে শহীদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মওলানা আবু হুসাইন মোহাম্মদ জাকারিয়া। গীতা পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিমাই চন্দ্র রায়।
সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দলীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর এবং ১০ জেলার, মহানগর এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এমআরএম/এএ