আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে গত কয়েক বছর নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি করেনি বিএনপি। সর্বশেষ ২০০৯ সালে পরিচালিত কর্মসূচি থেকে খুলনা মহানগরীতে ২৫ হাজার নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দল ভারি করে তৃণমূল চাঙ্গা ও ডাটাবেজ তৈরির জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযান কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
একাধিক নেতা মনে করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান কতটা সফল হবে এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তবে মহানগর বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দল পুনর্গঠন ও মাঠপর্যায়ে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছেন। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
মহনগর বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হক শাওন বাংলানিউজকে বলেন, মাহে রমজানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও ৩ ইউনিয়নের একাধিক ইউনিটে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা ছিল। ঈদের দিন সকাল থেকে রাত অবধি নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীসহ নগরের সর্বস্তরের জনগণ এবং পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সকলের মধ্যে হৃদ্যতা বেড়েছে।
৮ জুলাই জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর উপস্থিতিতে মহানগরীতে শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ ও নবাযন কার্যক্রম।
তিনি জানান, মহানগরীর ৩১ ওয়ার্ড ও ৩ ইউনিয়নে মোট ৩৪টি ইউনিটে ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ড। প্রতিদিন ২টি করে ওয়ার্ডে কর্মী সভা হচ্ছে। যেখানে নগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখছেন।
এর আগে ২০০৯ সালে খুলনায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সদস্য হয়েছিলেন ২৫ হাজার। এবার বিএনপির টার্গেট ৫০ হাজার সদস্য করা। তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা বিএনপি আন্দোলন হোক বা নির্বাচন- দু’টির জন্যই সম্পূর্ণ প্রস্তত। ক্রমাগত রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে সাধারণ কর্মীরা চাঙ্গা বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের এবার নতুন সদস্য করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই দু’টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হচ্ছে। রোববার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত ১০টি ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শুরু হয়েছে। তরুণ ভোটারদের মধ্যে এ নিয়ে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। অনেক নারীও সদস্য হচ্ছেন।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমআরএম/এসএইচ