তিনি বলেন, রোডম্যাপ দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধান হবে না, এর সমাধান করতে হলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই মুহুর্তে প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের।
রোববার (১৬ জুলাই) নয়া পল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ দিয়েছে এটা বিষয় নয়। দেশের প্রধান সংকট হচ্ছে নির্বাচন কিভাবে হবে। সেখানে সরকারের অবস্থানটা কি হবে। সরকার কোন জায়গায় থাকবে?
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সহায়ক সরকার প্রয়োজন। সেই সহায়ক সরকার গঠনের জন্য আলোচনার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। সেই দিক থেকে রোডম্যাপ দেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।
রোববার ইসিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনায় ৭টি করণীয় দিক ঠিক করে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচন ঘিরে ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সেই তালিকা ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি মধ্যে প্রকাশ করা, আগস্টে নির্বাচনী এলাকার সীমানা চূড়ান্তের কাজ শুরু করে পরের বছরের এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা, আগামী বছরের জুন থেকে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজ শুরু করে ওই বছরের জুলাই মাসে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা এবং তার আগে মার্চের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন যাচাই করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এএম/বিএস