ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগকে ক্ষমতায় বসাতে ইসির নীল নকশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
আ’লীগকে ক্ষমতায় বসাতে ইসির নীল নকশা নয়া‍ পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কথা বলছিলেন মির্জা ফখরুল

ঢাকা: অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় বসাতে নির্বাচন কমিশন নীল নকশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, সহায়ক সরকারের সমঝোতার আগে নির্বাচন কমিশনের এ রোডম্যাপ ষড়যন্ত্রের অংশ।  

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) নয়া পল্টন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসির দেওয়া নির্বাচনী রোডম্যাপের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

ফখরুল বলেন, জাতির আশা-আকাঙ্খাকে উপেক্ষা করে পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার নীল নকশা বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করেছে। এতে জাতি চরমভাবে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হয়েছে।

নির্বাচন কালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা কমিশনের দায়িত্ব নয় ইসির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সহায়ক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট দূর করা সম্ভব। যেন তেন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। আগামী নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে হবে। যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

তিনি বলেন, ভয়ভীতি ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে। সঠিক সময়ে ভোট দিয়ে জনগণ তাদের পছন্দ মত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে। এটা সংসদীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের প্রত্যাশা। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন রোডম্যাপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে সেই ইচ্ছাও কমিশনের নেই।

বর্তমান সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব ইসির এমন বক্তব্যে জনগণ আরো হতাশ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসির এই বক্তব্যে সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং নেত্রীবৃন্দের বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে।

 

রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে, কমিশনের এমন বক্তব্যের প্রতি উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা করছে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সুবিধা ব্যবহার করে সারা দেশ ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। অপরদিকে বিরোধী দলগুলো ন্যূনতম বৈঠকও করতে পারছে না।

তিনি বলেন, আজ এটা সবাই বিশ্বাস করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুপরিকল্পিত ভাবে তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ।

ফখরুল বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা রাজনৈতিক সংকট দূর করা সম্ভব। রোডম্যাপ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। রাজনৈতিক ভাবে সমঝোতা করে এর সমাধান বের করতে হবে।


বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি সরকার মানবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কোনো সরকারই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে টিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না। জনগণই এই সরকারকে বাধ্য করবে সহয়াক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে।

এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,  সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭/আপডেট ১৭২৪
এএম/বিএস  

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।