ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

লন্ডন থেকে ফিরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন খালেদা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
লন্ডন থেকে ফিরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন খালেদা ছবি: সভায় অতিথিরা, শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ খুব ভালো করেই জানে যে খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। আর সে ভয়েই দলটির নেতারা বেসামাল হয়ে একেকজন একেক কথা বলছেন।

শুক্রবার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ প্রতিবাদ নাগরিক সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল।

মাহবুব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ বলছেন খালেদা জিয়া পালিয়ে গেছেন, কেউ বলছেন তিনি আর ফিরে আসবেন না। কিন্তু এ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন কারা তাতো আমরা দেখেছি এক এগারো সরকারের সময়।

তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাবছর নাবালক থাকবেন আর নির্বাচনের সময় বলবেন সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। এটা কখনও সম্ভব নয়।

মাহবুব হোসেন বলেন, একটা নিবন্ধিত দলের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবসময়ই সরকারকে পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু তিনি বললেন কোনো ক্ষমতা নেই।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হলে এই দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাহার করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আর সহায়ক সরকারের দাবি না মানলে আমরা রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে এমন একটি সরকার গঠন করবো যার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সহায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যেকোনো প্রান্তে এমনকি গোপালগঞ্জেও যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তার জামানত থাকবে না। এটা আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি। যদি জামানত থাকে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।

তিনি বলেন, আজও যদি সহায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, একদিনের ব্যাবধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া। আর সেই কারণেই আওয়ামী লীগ বায়না ধরেছে তাদের জিততে হলে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকেই থাকতে হবে।

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়া ফিরবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের সমালোচনায় দুদু বলেন, সেতুমন্ত্রী কতটা ব্যর্থ তা দেশের রাস্তাঘাট দেখলেই বোঝা যায়। কাজেই এমন মন্তব্য তিনিই করতে পারেন। খালেদা জিয়া দেশে না আসলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি তো জিতবে। তিনি বাংলাদেশে আসবেন গণতন্ত্রের পতাকা উড়ানোর জন্য, সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, শাহবাগ থানা কৃষক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
ইইউডি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।