ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাদক ব্যবসায় বাধা, যুবলীগ কর্মীকে মারধর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
মাদক ব্যবসায় বাধা, যুবলীগ কর্মীকে মারধর

আশুলিয়া (সাভার): মাদক ব্যবসা ও সেবনে বাধা দেয়ায় জামসেদ আলম খোকন নামে যুবলীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক সম্রাট আসলাম ও তার বাহিনীর লোকজন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবলীগ কর্মী। তবে এখনও আসলাম ও তার বাহিনীর কোনো সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার ভোরে আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম বাইপাইল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে হানিফ নামের এক ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। এর আগে অনেকবার পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে বেরিয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা চালিয়ে যান তিনি। আশুলিয়া থানার ততকালীন ওসি মহসিনুল কাদির দায়িত্বে থাকাকালীন তাকে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেওয়ার পর থেকে তার শালা আসলামকে মাদক ব্যবসার দায়িত্ব দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান হানিফ। সে সময় থেকে এলাকার মাদকসেবীদের নিয়ে একটি মাদ্রক সাম্রাজ্য তৈরি করে আসলাম। এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করেন তিনি।

এছাড়া রাত হলেই বাহিনী নিয়ে পোশাক শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনতাই, চুরি ও মারধর করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই মারধরসহ হত্যার হুমকি দেন। এতে তার ভয়ে কেউ অভিযোগ করার সাহসও পায় না। পরবর্তীতে ওই ওসি বদলি হওয়ার পর হানিফ পুনরায় এলাকায় ফিরে আসেন। পরে দু’জন মিলেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যান।

তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলেই মারধর ও মাদক মামলার হুমকি দেন তারা।

আহত জামসেদ আলম খোকন জানান, গত কয়েকমাস ধরে দেওয়ান মার্কেটের আশপাশে ইয়াবা ব্যবসা করছিলেন তারা। এছাড়া মার্কেটের ভেতরে থাকা দোকানীদের হুমকি ধমকি দিয়ে তাদের দোকানে বসে কেনাবেচা করতেন। এ বিষয়ে দোকানীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর মার্কেটের মালিক ও আসলামের চাচা কুদরত দেওয়ানকে জানানো হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রাম সালিশের মাধ্যমে তাদের সর্তক করে দেওয়া হয়। সেই ক্ষোভে আসলাম তার দলবল নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় রড, লাঠি দিয়ে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন তারা। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
 
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ চৌধুরী জানান, অভিযোগ দায়েরের পর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। তাদের আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।