মওদুদের দু’টি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদুকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সাত কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং চার কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দুর্নীতির মামলাটি করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে মওদুদ আহমদ ব্যক্তিগত, পেশাগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যয় উল্লেখ করেননি।
কিন্তু মওদুদ আহমদের পক্ষে থেকে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে এসব ব্যয়ের উল্লেখের বিধান নেই। তাই অভিযোগ গঠনের আগে ব্যয়ের খাত উল্লেখের বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করে মওদুদ। গত ০৫ এপ্রিল সে আবেদন খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গত মে মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনে ওই মামলার কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়। সে আবেদনটি ১২ জুলাই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়।
গত ২১ জুন মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (চার্জ) করে এ মামলার বিচার শুরু করেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ ইমরুল কায়েসের আদালত। হাইকোর্টে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে একটি ও ওই আদালত পরিবর্তন চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন মওদুদ।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মওদুদ আহমদের আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে মামলাটি অন্য আদালতে বদলিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো ধরনের মুলতবি না করে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটির নিষ্পত্তি করতেও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর