বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন- তারা নাকি আগামী নির্বাচন হতে দিবেন না।
যারা গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের বলি, ‘বাংলাদেশে ২০১৪ সালেও নির্বাচন হয়েছে ২০১৯ সালেও হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না। সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। আমেরিকা, ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ভারতে যেভাবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। জনগণের অধিকার আছে যাকে খুশি তাকে ভোট দেওয়ার, তারা ভোট দিবে। কিন্তু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে এমন শক্তি বাংলাদেশে কারো নেই। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দৌরঘোরায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক চালু করে। কিন্তু, বিএনপি ২০০১ সালে তা বন্ধ করে দেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তা আবারো চালু করেছে। এবং তা দেশ-বিদেশের সুনাম কুড়াচ্ছে। কিন্তু বিএনপি কেন তা বন্ধ করে দিয়েছিলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।
স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বরাদ্দ কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ নেপালের চেয়েও কম। কিন্তু তারপরেও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের স্বাস্থ্য সেবা এগিয়ে আছে। আমাদের একজন ডাক্তার অন্যান্য দেশের ডাক্তারদের তুলনায় অনেক বেশি রোগীকে সেবা দিয়ে থাকেন।
এসময় ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালকে সরকারি অনুদান আগামীতে ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি, এককালীন ৩০ কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ ও আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ন্যাশনাল মেডিকেলের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সভাপতি কাজী ফিরোজ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এম এ বাশার, হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
ডিআর/ওএইচ/