বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান তারা। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিদের জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রকাশ বিশ্বাসসহ কয়েকজন আইনজীবী। মামলার বাদী গোলাম রব্বানী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইমরান-সনাতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। আগামী ২৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠনে শুনানির দিনও ধার্য করেন।
মামলার পর গত ১৬ জুলাই আত্মসমর্পণ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন ইমরান-সনাতন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে বদলি করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
বিচারিক আদালত স্থানান্তরের পর বুধবার ছিলো ইমরান-সনাতনের হাজিরার প্রথম ধার্য দিন। কিন্তু তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ৩১ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে ১৬ জুলাই আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে গত ২৮ মে রাতে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিলে ‘ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না’, ‘বাংলাদেশ হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’ স্লোগান দেওয়া হয়। এ স্লোগানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ ও তার মানহানি হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে মুখপাত্রের দায়িত্বে আছেন ইমরান এইচ সরকার। অন্য আসামি সনাতন মালো উল্লাস বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংগঠক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এমআই/এএসআর