তিনি বলেন, আপনারা মিয়ানমারকে বাধ্য করুন, এই গণহত্যা বন্ধ করে তাদের সসম্মানে ফিরিয়ে নিতে এবং নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদের (জিসাস) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ফখরুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারে নির্বিচারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে হত্যা করা হচ্ছে। ১০ লাখ মানুষ ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতীয় সংকট উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ এসে চলমান সমস্যার সমাধান করে দিবে না। আমরা আগে থেকেই বলছিলাম প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে চীন ও রাশিয়ায় গিয়ে আমরা কত বড় সমস্যার মধ্যে আছি তা যেন তাদের বোঝায়। প্রতিদিন হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন বেড়েই চলেছে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আমরা দু’টি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি। একটা হলো অভ্যন্তরীণ। দেশে গণতন্ত্র নেই, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভোটাধিকার ও নাগরিক হিসেবে মৌলিক চাহিদা পূরণ। অপরটি হলো বাইরের দ্বারা আক্রমণ। যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরর উপর করা হচ্ছে। এই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা জাতীয় ঐক্য ছাড়া সম্ভব নয়। এ সংকট নিরসনে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল, কৃষক শ্রমিক, কবি, সাহিত্যিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী ও সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
১৯৭১ সালের মত দেশ ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না। আমাদের কৃষ্টি কালচার, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব রক্ষায় এক হতে হবে।
জিসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল হোসেন রানা সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, কবি সাহিত্যিক আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এএম/এসএইচ