শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারের ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার’ চত্বরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী তার বক্তৃতায় সংসদ সদস্যকে বয়কটের ঘোষণা দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল বারী বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বর্ধিত সভায় পৌরসভা, ছয়টি ইউনিয়নের ৬৭টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে থেকেও সাংগঠনিক পরিপন্থী কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তার স্বজনদের প্রাধান্য দিয়ে নিজে সুবিধাভোগ করছেন। এক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে।
উপরন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ছেলে আশিফ ইকবাল ওরফে শোভনকে দিয়ে সোলার বাণিজ্য এবং মেয়ে কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিকে দিয়ে নানা ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য করছেন। এসব নিয়োগ বাণিজ্যে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থকরা সংসদ সদস্যের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন।
সভায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল কুদ্দুসকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার আহবান জানান।
বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, জাতীয় শ্রমিকলীগের উপজেলা সভাপতি মো. জয়েন উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ সরকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাসুদ সরকার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ ও পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু তাহের সোনার প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে দলের কতিপয় নেতা তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। তার ছেলে-মেয়ে কোনো ধরনের অনৈতিক কাজর সঙ্গে জড়িত নেই। তাকে বয়কট করার অভিযোগটিও সাংগঠনিক পরিপন্থী, তারা বয়কট করতে পারেন না।
কারণ তারা যে কমিটি দেখিয়ে বর্ধিত সভা ডেকেছেন, সে কমিটির কোনো বৈধতা নেই। জেলা কমিটি থেকে কোনো অনুমোদনও নেই। তারা এভাবে মিটিং করে একাধিকবার বয়কট করেছেন। এটা তাদের ট্রেডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে তিনি বিচলিত নন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
আরবি/