তিনি বলেছেন, দেশে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে’ বর্তমান সরকারের হিংস্র আচরণ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
এতে ফখরুল অভিযোগ করেন, পুলিশ যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, মুগদা থানার যুগ্ম-আহবায়ক জুয়েল ও বাবু, বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টন, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মাসুদ পারভেজ, বিএনপি নেতা ভজন, ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আকরাম হোসেন, গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জামাল হোসেন, আকরাম হোসেন, টঙ্গী থানা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, ঢাকার ধামরাই উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাহীন মাহমুদ, বদিউজ্জামান বাবু, মেহেদী ভূঁইয়া, মতিউর রহমান, আশিষ কুমার মনিদাস, চরণমনি দাসসহ দেশজুড়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব এই গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক ও ভুয়া মামলা’ দায়ের করে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির নামে ‘তাণ্ডব’ চালানো হয়েছে। আমরা এসব ‘ন্যাক্কারজনক’ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, নিজেদের দুঃশাসনের পরিণতির কথা আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে বলেই মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি তোয়াক্কা না করে তারা বিরোধী দলকে দমন করে চলেছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা দায়ের’, গ্রেফতার ও দমন-পীড়ন চালিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারই বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি, বরং তাদের পতন হয়েছে মর্মান্তিকভাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এইচএ/